২০০ এর বেশী আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছি : ঘোষনা দিলীপ ঘোষ এর

4th December 2020 6:59 pm হুগলী
২০০ এর বেশী আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছি : ঘোষনা দিলীপ ঘোষ এর


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসছি এবং আমরা ক্ষমতায় এলে সমস্ত ফলস কেস তুলে নেব, এমনকি সিপিএ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা কেসগুলো-দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষl আজ হুগলির চাঁপদানির অ্যাঙ্গাস মাঠে বিজেপির এক দলীয় সভায় এসে তিনি একথা বলেনl একই সাথে  তিনি বলেন একবার আমাদের ক্ষমতায় আনুন দেখবেন রাজ্যে শ্রীলতাহানি বন্ধ হয়ে যাবেl অন্যদিকে  তিনি জানান রাজ্যের সবুজ সাথী,স্বাস্থ্য সাথী এবং বহিরাগত তকমার  সমালোচনা করেনl এদিনের সভা থেকে তিনি রাজ্যের কৃষকদের পাশে থেকে দুর্নীতি আটকাতে কেন্দ্রের কৃষি আইন একমাত্র রাস্তা বলে দাবি করেনl সভায় শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু, রাজ্য নেতা কবীর শংকর বোস সহ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দlএদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী শুধু বলছে উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু উন্নয়ন শুধু দিদির ভাইদের হচ্ছে।তাদের বড় বাড়ি হচ্ছে আর নীল সাদা রং হচ্ছে।আর যে তৃণমূল বহিরাগত নিয়ে বেশি গলা ফাটাচ্ছে সেই তৃণমূল দল ভোট জিততে বহিরাগত নিয়ে এসেছে।এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও থাইল্যান্ডের বাসিন্দা রয়েছেন।এদিন সভা থেকে সবাইকে বিজেপি দলে আহ্বান জানিয়ে বলেন যারা সোনার বাংলা গড়তে তাদের দলে আসতে চাইছে তাদের স্বাগত।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।